বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছ পরিচিতি এবং ছবিসহ তালিকা - Sea Fish Bangladesh
SUBTOTAL :

Follow Us

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছ পরিচিতি এবং ছবিসহ তালিকা

বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছ পরিচিতি এবং ছবিসহ তালিকা

Short Description:

Product Description

 


সামুদ্রিক মাছ অনেকেরই প্রিয় খাবার। নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খেলে বেশ কিছু সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি। এই সবকটি উপাদানই একাধিক জটিল রোগকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সামুদ্রিক মৎস্য দুই শ্রেণীতে বিভাজ্য, পানির উপরিভাগের (pelagic) ও তলদেশীয় (demersal)। বাংলাদেশের পেলাজিক মাছের মধ্যে রয়েছে পানির উপরের স্তরে সর্বক্ষণ সাঁতার কেটে বেড়ানো প্লাঙ্কটনভুক মাছ। এগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ইলিশ, রূপচান্দা, ছুরিমাছ, ম্যাকারেল, লইট্টা, খল্লা, লাখুয়া, Sardine, pelagic shark, sword fish, কালিমা, Bonito, Skipjack, Threadfin, Smelt, ফাঁস্যা, Indian anchovy, করাতি চেলা, Dorab Herring, Indian Scad, Bone Fish ইত্যাদি এবং বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মাছ।



সমুদ্রের তলদেশে বা তলদেশের কাছাকাছি বসবাসকারী মাছকে তলদেশীয় মাছ বলা হয়। তলদেশীয় অধিকাংশ মাছ মাংসাশী বা আবর্জনাভুক। বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৪৪২ প্রজাতির মাছ থাকলেও মাত্র ২০ প্রজাতির মাছ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আহরিত হয়। তলদেশীয় মাছের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ Jaw fish, Croaker, Catfish, Flatfish, কালিমা, লাল দাতিনা, Snapper, Goat Fish, Crab eater, Rabbit Fish, Rock Fish, Seabass, Grouper, Silver Bream, ছুরিমাছ ও তলদেশীয় হাঙ্গর। অন্যদিকে, তলদেশীয় মৎস্যসম্পদের মধ্যে কয়েক প্রজাতির কাঁকড়া ও প্রায় ১০ প্রজাতির চিংড়িও রয়েছে। Gastropoda শ্রেণীভুক্ত শামুকজাতীয় প্রাণী অন্যত্র খাদ্য হিসেবে সমাদৃত হলেও বাংলাদেশে ভোজ্য নয় বলে বাণিজ্যিকভাবে আহরণ করা হয় না। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ৫ লক্ষ মে টন সামুদ্রিক মাছ ও চিংড়ি ধরা হয়। সাধারণ বা যন্ত্রচালিত নৌকায় স্থায়ী ভাসমান ফাঁসজাল, স্থায়ী থলেজাল ও লম্বা সুতার বড়শিতেই অধিকাংশ মাছ ধরা পড়ে। সম্মানিত পাঠক এখানে বাংলাদেশের সামুদ্রিক মাছ পরিচিতি এবং ছবিসহ তালিকা দেওয়া হল আশা করি অনেক কিছু শিখতে পারবেন।


সামুদ্রিক মাছের গুনাগুন বলে শেষ করা যাবেনা। সামুদ্রিক মাছ উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ, এবং এতে ক্ষতিকারক ফ্যাট নেই বললেই চলে। সামুদ্রিক মাছের আরেকটি স্বাস্থ্যকর দিক হল এটি কম-ক্যালোরিযুক্ত খাবার। সামুদ্রিক মাছ যেমন ইলিশ, কোরাল, রূপচাঁদা, সুন্দর বাইলা, চিংড়ি, ফোঁপা, লইট্টা, লাইখ্যা সহ প্রভৃতি মাছে আছে প্রচুর মিনারেল ও ভিটামিন। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এসকল সামুদ্রিক মাছ হার্ট-এটাক, স্ট্রোক, স্থুলতা এবং উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। শিশু-কিশোরদের মানসিক ও শারীরিক গঠনে সামুদ্রিক মাছ দারুন ভূমিকা পালন করে।


0 Reviews:

Post Your Review