বাজার থেকে যে কোন মাছ কেনার পর আজকাল বাজারেই মাছ কেটে, নাড়িভুড়ি ফেলে মোটামুটি পরিষ্কার করে দেয়া হয়। বাসায় এসে পানিতে ভাল করে ধুয়ে নিলেই রান্নার জন্য প্রস্তুত! তবে ছোট মাছের ক্ষেত্রে এখনো সেই সুবিধা হয় নাই! যাই হোক, সামুদ্রিক এই পোয়া মাছ কেনার পর মাছ দোকানী (বিশুর দোকানের পাশের দোকান) ইচ্ছা করেই কেটে দিল, হাল্কা পরিচিত হবার এই হচ্ছে সুবিধা। অবশ্য বিশুর মাছ দোকান হলে আমার বলাই দরকার ছিল না!
সামুদ্রিক মাছ এখনো আমাদের অনেক পরিবার পছন্দ করেন না! আমি করি, কারন সামুদ্রিক মাছে কাঁটা কম থাকায় শিশুদের সামুদ্রিক মাছ খাওয়াতে তেমন বেগ পেতে হয় না।
যাই হোক, চলুন সামুদ্রিক পোয়া মাছের একটা সাধারন রান্না দেখি। এই রান্না নূতনদের মাছ রান্নায় আগ্রহী করে তোলার জন্যই দেয়া হচ্ছে। এমন মাছ রান্না আগেও অনেকবার দেয়া হয়েছে। আপনার পরিচিত যে কোন মাছের নাম লিখে সার্চ করে দেখতে পারেন। আশা করি পেয়ে যাবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
– ৬ টা পোয়া মাছ, এক কেজির চেয়ে কম হবে
– মাঝারি তিনটে পেঁয়াজ কুঁচি
– গুড়া মরিচ, হাফ চা চামচ বা কম, ঝাল বুঝে
– হলুদ গুড়া, হাফ চা চামচের কম (মাছ মাখিয়ে রাখতে আরো সামান্য লাগবে)
– হাফ চা চামচ জিরা গুড়া
– কয়েকটা কাঁচা মরিচ
– এক চা চামচ দেশী রসুন বাটা
– এক চা চামচ আদা বাটা
– তেল (পরিমান মত, কম তেলেই রান্না উত্তম, তবে মাছ ভাঁজতে কিছু অতিরিক্ত তেল লাগবে)
– পানি (পরিমান মত)
– লবন, পরিমান মত
প্রনালীঃ
মাছে মশলা লাগিয়ে রাখাঃ
ধুয়ে, মাছে সামান্য লবন ও হলুদ গুড়া দিয়ে মাখিয়ে কিছুক্ষন ফ্রীজে রেখে দিতে পারেন, তাড়া না থাকলে।
মাছ হাল্কা ভাজাঃ
সামান্য তেলে মাছ গুলো ভেঁজে ফেলুন, সামান্য ভাঁজা যাকে বলে। (অনেকে মাছ রান্নায় ভাঁজেন না, সেটাও চলে, আপনার ইচ্ছা!)
এক পিঠ হয়ে ফেলে অন্য পিট উলটে দিন। মাছ ভাঁজায় বিশেষ সতর্কতায় থাকুন। অনেক সময় মাছ ফুটে উঠে বা তেলের ছিটা গায়ে পড়ে। মাছ উল্টাতে হয়ে আরো সাবধানে, মাছ যেন ভেঙ্গে না যায় এবং তেলের ছিটা যেন গায়ে না লাগে।
এবার মাছ গুলো তুলে রাখুন। মুল রান্নায় আসুন।
মুল রান্নাঃ
অন্য একটা কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি, লবন ও কয়েকটা মরিচ ফালি দিয়ে ভাঁজুন।
আদা, রসুন বাটা দিন।
এবার একটা ছোট বাটিতে হলুদ, মরিচ, জিরা গুড়া সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে নিন এবং তা দিন।
সামান্য হাফ কাপ পানি দিন এবং ভাল করে কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিন।
এবার ভেঁজে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিন।
গা গা পানি দিয়ে দিন।
আগুনের আঁচ মাধ্যম রেখে একটা ঢাকনা দিয়ে রাখুন, মিনিট ১৫। তবে মাঝে মাঝে মাছ উলটে দিতে ভুলবেন না।
ঝোল কমাতে ঢাকনা তুলে আগুন বাড়িয়ে দিতে পারেন। যাই হোক, সামান্য ঝোল থাকুক না! এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন, না লাগলে ওকে বলুন।
পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত।
গরম ভাতের সাথে দারুন, স্বাদ, ঘ্রান আপনাকে মনে রাখতেই হবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা। আনন্দে কাটুক আমাদের সকলের জীবন।
(মাছ নিয়ে এক্সপ্রেরিমেন্ট করে রান্নার হাত ভাল করে নিতে পারেন, মাছ রান্না করে মশলা সহ রান্নার নানান বিষয়ে অনুমান আয়ত্ত্বে চলে আসবে।)
0 Reviews:
Post Your Review